1. admin@dainikbanglarkotha.com : banglarkotha1987 :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাছেদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে রেজাউল করিমের জনসভায় যোগদান সোনারগাঁয়ে সবজি ও ফুল চাষের উপর কৃষকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ মেঘনা গ্রুপের পেপার এন্ড পলপ কারখানায় ভয়াবহ আগুন সোনারগাঁয়ে তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা আ’লীগের নৈরাজ্য ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান সোনারগাঁয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল সোনারগাঁয়ে ইউথ ওডিআই ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ সিজন-১ উদ্বোধন সোনারগায়েঁ জামাতের কর্মীদের হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’র কেন্দ্রীয় সদস্য হলেন সাংবাদিক গাজী মোবারক সোনারগাঁওয়ে ফেনসিডিলসহ আটক ১, মোটরসাইকেল জব্দ

⬜মৃগীরোগ কী? মৃগী(ইংরেজি: Epilepsy)

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৭৫২ বার পঠিত

এটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যা একজন ব্যক্তির বারবার খিঁচুনি ঘটায়। মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বলা হয় Epileptic. মস্তিষ্কে হঠাৎ অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপের কারণে এই খিঁচুনি ঘটে যা মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে মেসেজিং সিস্টেমে একটি অস্থায়ী ব্যাঘাত ঘটায়।

⬜কারণ: এই রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে নিম্নোক্ত কারণগুলো থেকে মৃগীরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে—

◾মৃগীর খিঁচুনি জেনেটিক হতে পারে
◾জন্মের আগে বা জন্মের সময় বা পরে মস্তিষ্কে আঘাত
◾শিশুর জন্মের সময় মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব
◾সংক্রমণ যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে
◾মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা(স্ট্রোক বা অন্যান্য সময়)
◾মস্তিষ্কে টিউমার বা সিস্ট
◾অধিক মাত্রার জ্বর
◾মস্তিষ্কে প্রদাহ
◾ডিমনেশিয়া বা আলঝাইমার রোগ
◾অত্যধিক অ্যালকোহল বা ড্রাগ অপব্যবহার
◾সংক্রামক রোগ যেমন এইডস,মেনিনজাইটিস যা মস্তিষ্কের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে
◾ভাস্কুলার রোগ

⬜বয়স: মৃগীরোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে। সাধারণত শৈশবকাল এবং ৬০ বছরের পর মানুষ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

⬜লক্ষণ:

◾হঠাৎ শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি শুরু হওয়া ও পর্যায়ক্রমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া
◾হঠাৎ নমনীয়ভাবে ঢলে পড়া
◾শরীর শক্ত হয়ে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যাওয়া
◾হঠাৎ জ্ঞান হারানো
◾ঘন ঘন কাজে অমনোযোগী হয়ে পড়া
◾ছোট বাচ্চাদের শরীর হঠাৎ ঝাঁকি খাওয়া
◾হঠাৎ মাথা বা পিঠ কিংবা পুরো শরীর সামনে ঝুঁকে আসা
◾হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করা এবং হাত,পা ও মুখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া শুরু হওয়া
◾হঠাৎ শরীরের কোনো অংশে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া।

◻️খিঁচুনির সময় যা করা যাবে না:
◾আতঙ্কিত বা ভীত হওয়া যাবে না।
◾খিঁচুনির সময় কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি বা রোগীকে আকঁড়ে ধরার চেষ্টা করা যাবে না। এতে রোগী ও সাহায্যকারী উভয়ই আহত হতে পারে।
◾রোগীর মুখে চামড়ার জুতো বা চামড়ার তৈরি অন্যকিছু, লোহার শিক ইত্যাদি চেপে ধরা উচিত হবে না। এতে রোগীর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে।
◾রোগী পুরোপুরি সচেতন না হওয়া পর্যন্ত পানি বা অন্যকোন পানীয় দেওয়া যাবে না।

⬜চিকিৎসা: কোনো কোনো Epilepsy’র দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রবাব নেই। আবার কোনটি মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এপিলেপসির ধরন,তীব্রতা,সাধারণ স্বাস্হ্য এবং রোগীর বয়সের মতো বিষয়গুলো অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা করেন। চিকিৎসার প্রথম সারিতে খিঁচুনি-বিরোধী(অ্যান্টি-সিজার/অ্যান্টি কনভালসেন্ট) ওষুধ অন্তর্ভুক্ত। ওষুধ কার্যকর না হলে রোগীদের অস্ত্রোপচারারের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

কলমে: জান্নাতুল ফেরদৌস সামিয়া
অনার্স ২য় বর্ষ,প্রাণিবিদ্যা বিভাগ

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক বাংলার কথা
Theme Customized By Shakil IT Park