নিজস্ব প্রতিবেদক:-
তুলে ধরে ছিলাম কথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বহুবিবাহকারীনি, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, প্রতারক, রাজাকারের নাতনী, বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানার তালুকের চরধনি গ্রামের মৃত শাহাদাৎ শিকদারের মেয়ে শাহনাজ পারভীন (৪৫)। প্রতারণা করাই তার মুল পেশা। অবশেষে সত্য হলো সে প্রতারকের বিরুদ্ধে করা সকল নিউজের কথা গুলো। হাজী নুরুল হকের করা প্রতারণার মামলায় গত দুই মাস ধরে গাজিপুরের কাসিমপুর কারাগারে আছেন কথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শাহনাজ পারভীন। সূত্র জানায় যে, প্রতারক শাহনাজ পারভীন এর নামে একাদিক মামলার বিচারাধীন, ২০১৫ সালে তেঁজগাও থানায় চাঁদাবাজির মামলায় বেশ কয়েকদিন জেল খাটে এই শাহনাজ।
শাহানাজ পারভীন নামে এটিএন নিউজে করা এক প্রতিবেদনে আমরা শাহনাজের ৫জন স্বামীর সন্ধান জানিতে পারি এর মধ্যে প্রথমে ফরিদপুর জেলার ইউনুসের সাথে তার বিবাহ হয়। ঐ স্বামীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে পরবর্তীতে সাগর নামে এক ব্যাক্তি কে বিবাহ করে। তার পর মাসুদ নামে আরো এক ব্যাক্তিকে বিবাহ করিয়া ঢাকা কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় চলে আসে। তাছাড়া হাজী নৃরুল হক ও বাবুল মিয়া নামে আরে দুজন স্বামীর নাম পাওয়া যায়। তার লেখাপড়া তেমন নাই তবে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়িয়াছে বলে জানা যায়। ঢাকা আসিয়া কুড়িল চৌরাস্তায় অনলাইন নিউজের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি ও প্রতারণা মূলকভাবে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
শাহনাজ গ্রাম থেকে এসে প্রথমে গৃহবাড়ির কাজ , হোটেলে প্লেট ধোওয়ার কাজ, ব্যাটারীর দোকানে কাজ, ফুটপাতে চা বিক্রি করে, একসময় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তারপর হয়ে উঠে সাংবাদিক।
শাহনাজ মাঝে মাঝে স্যোসাল মিডিয়ায় ক্যান্সার সহ বিভিন্ন অসুখের কথা বলে চিকিৎসার নামে সাহায্য চেয়ে ভূযা পোস্ট দিতো।
কোন বিষয়ে শাহনাজ এর কাছে জানতে চাইলে সে সাংবাদকদের হুমকি দিতো, কথায় কথায় নারী শিশু নির্যাতন মামলার হুমকি দিতো, এমনকি সে একাদিক সাংবাদিকদের নামে ঢাকা কোর্টে নারী শিশু নির্যাতন ধারায় মামলা দিয়েছে যদিও তদন্তে সে মামলা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
অবশেষে বিলাসী জিবন যাপন করা এই প্রতারক শাহনাজ ধরা খেলো, এবার শাহনাজের একটা উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে এলাকাবাসী আশা ব্যাক্ত করেন।